সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রতিনিধি, কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে শীতের আগমন বার্তা জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। শীতের মওসুমে সবচেয়ে বেশি সবজি মিলে বাজরে। ক্রেতাদের মনে ফেরে স্বস্থি। কিন্তু এবার ঈদগাঁও বাজারে শীতকালীন সবজির ব্যাপক আমদানী থাকলেও দাম ঊর্ধ্বমুখী। এর ফলে চাষীর মুখে হাসি ফুটলেও ক্রেতাদের মুখে ফুটেছে চরম ক্ষোভ। শীতকালীন সবজির চড়া দাম হওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
এক তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বৃহত্তর ঈদগাঁও’র শ্রমজীবিদের গৃহপালিত গো-খাদ্যের সংকটসহ বেড়েই চলছে চাল ও সবজির দাম। সম্প্রতি বাজারে সবজির দাম দ্বিগুন হারে বেড়েছে। লাগামহীন হয়ে পড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম। এ কারনে সবজি এখন সাধারণ মানুষের মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
গতকাল ঈদগাঁও তরিতরকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, সীম ৭০ টাকা, মূলা ২৫ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, করলা ৩৫ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, বটবটি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঈদগাঁও ভোমরিয়া ঘোনা এলাকার সবজি চাষি আমান উদ্দিন বলেন, এবারে আগাম জাতের সবজি চাষে ফলন কম এবং চাহিদা বেশী হওয়ায় দাম বেড়েছে। ওই দামে সবজি বিক্রি করতে পারায় চাষীরা লাভের মুখ দেখছে।
ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনস্থ তরকারী বিক্রেতা ইসলাম জানান, উচ্চ মূল্যে কাঁচা তরকারী কিনেছেন তাই তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পাইকারী বাজারে দাম বৃদ্ধি হওয়ায় খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছি।
সবজি কিনতে আসা ইসলামপুরের শাহাব উদ্দীন জানান, বর্তমানে সাধারণ মানুষ বাজার করতে গিয়ে অল্প কিছু কিনেই বাড়ি ফিরছে। এতে করে সংসার চালাতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যেও দাম এমন অবস্থা চলতে থাকলে শ্রমজীবি সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বে।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, চাষীদের আগাম জাতের সবজি উৎপান কম থাকায় মূল্য বেড়েছে। কিছুদিন পরে দাম কমতে পারে বলে তিনি আশা করেন।
পাঠকের মতামত: